স্বাধীনতার পূর্বে বাংলাদেশ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের খেলাধুলা পরিচালনা হত ইপিএসএফ (ইস্ট পাকিস্থান স্পোর্টস ফেডারেশন), ডিএসসি (ঢাকা স্টেডিয়াম কমিটি) এবং এনএসটিসিসি (ন্যাশনাল স্পোর্টস ট্রেনিং এন্ড কোচিং সেন্টার) এই তিন সংস্থার মাধ্যমে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ০৭ ফেব্রুয়ারী শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে গঠন করে বিকেএনএস (বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা)। তৎকালীন শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী অধ্যাপক মোঃ ইউসুফ আলীকে চেয়ারম্যান করে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি এই বিকেএনএস পরিচালনা করে। ঐ কমিটি পরে এনএসটিসিসি, ইপিএসএফ ও ডিসিসি-এই তিনটি প্রতিষ্ঠান একত্রিত করণের লক্ষ্যে একটি এডহক কমিটি গঠন করে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের খেলাধুলায় প্রাণ ফিরিয়ে আনা, বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে ফেডারেশন গঠন, আন্তর্জস্বকৃতি আদায়সহ খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টিই ছিল তিনটি প্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করণের উদ্দেশ্য। ৩০ জুলাই, ১৯৭৪ সালে তিন প্রতিষ্ঠান একত্রিত করণ বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়, যার নাম বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অ্যাক্ট’১৯৭৪ এবং গঠন করা হয় বিএসসি (বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল) অর্থাৎ বিকেএনএস-এর পরিবর্তিত নাম বিএসসি। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদ অ্যাক্ট সংশোধন করে গঠন করা হয় এনএসসিবি (ন্যাশনাল স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ড)। ১৯৮৯ সালে পুনরায় অ্যাক্ট সংশোধনীর জন্য জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯৯১ সালে গেজেটের মাধ্যমে সরকার এনএসসিবি নাম পরিবর্তন করে এনএসসি (ন্যাশনাল স্পোর্টসকাউন্সিল) করে।
বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেঃ http://nsc.portal.gov.bd/site/page/443bfea5-6a38-47e8-93c5-d2b2c8a2217d/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE
পরিষদ নিম্নবর্ণিত সদস্যবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত-
১. চেয়ারম্যান
২. বাদ দেওয়া
৩. যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হতে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি
৪. তফসিলের অংশ-১ এ অনত্মর্ভূক্ত নির্দিষ্ট করা ১ হতে ২৫টি সংস্থার সভাপতি, পদাধিকারবলে
৫. তফসিলের অংশ-১ এ ২৬ অনত্মর্ভূক্তির বরাতে প্রত্যেক জেলা ক্রীড়া সংস্থা হতে সংশিস্নষ্ট সংস্থা হতে মনোনীত একজন প্রতিনিধি
৬. সভাপতি, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন, পদাধিকারবলে
৭. সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, পদাধিকারবলে
৮. তফসিলের অংশ-৩ এ নির্দিষ্ট করা প্রত্যেক সংস্থা হতে উক্ত সংস্থার সভাপতি কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি
৯. তফসিলের অংশ-৪ এ নির্দিষ্ট করা প্রত্যেক সংস্থ হতে উক্ত সংস্থা কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি
১০. সরকার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ
রুপকল্প:
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়াঙ্গনকে সমুন্নত করার মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে সুস্থ ও মাদকমুক্ত জাতি গঠনকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা।
উদ্দেশ্যঃ
ক্রীড়া কার্যক্রমের মান বৃদ্ধি ও প্রসারের সাথে ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রীড়া ফেডারেশন/সংস্থাকে যথাযথ অনুদান এবং উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনকে সকল ক্ষেত্রে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে সমুন্নত করা।
প্রধান কার্যাবলী
১. বাংলাদেশের ক্রীড়া কার্যক্রমের মান উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রন ও সমন্বয়করন
২. জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা ও অন্যান্য অধিভুক্ত ক্রীড়া সংস্থাকে স্বকৃতি প্রদান
৩. জাতীয় ক্রীড়া যোগ্যতার মানের সাথে সাথে আনত্মর্জাতিক পর্যায়ের মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন ক্রীড়া মানের প্রবর্তন ও উন্নয়ন সাধন
৪. আনত্মর্জাতিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য প্রশিড়্গন ও শিড়্গা প্রদান বিষয়ক স্কীম প্রতিষ্ঠাপন ও কার্যনির্বাহ
৫. বিদেশে খেলায় অংশগ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন
৬. ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে ক্রীড়া কার্যক্রমের জন্য অনুদান (আর্থিক ও ক্রীড়া সামগ্রী) প্রদান এবং অনুরম্নপ সহায়তা প্রদানের জন্য স্টেডিয়াম, সুইমিংপুল ও জিমনেসিয়াম নির্মান
৭. দেশব্যাপী বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল, প্রশিড়্গন কেন্দ্র ও অন্যান্য ক্রীড়া স্থাপনাদি নির্মান ও রড়্গনাবেড়্গন
৮. ক্রীড়াঙ্গন থেকে অবসর গ্রহনের পর দুঃস্থ এবং খ্যাতনামা খেলোয়াড়দের আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান
৯. ক্রীড়া সংস্থা সমুহে ও ক্রীড়াবিদদের মধ্যে নিয়ম শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরনে যথাযথ পদড়্গেপ গ্রহন।
১০. ক্রীড়া ও ক্রীড়াবিদদের নিয়ে পুসত্মকাদি ও পত্রিকা প্রকাশ করা।
১১. জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রদানের জন্য যথাযথভাবে প্রসত্মাব প্রেরন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস